প্রকাশিত: ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
সারাদিন ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২) আগামী মাসে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেন তিনি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এখন আর তার যথেষ্ট ‘সক্ষমতা’ নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। লেবার পার্টির সদস্যদের একটি সভায় তিনি বলেন, আমার জন্য এটিই সময়। আরও চার বছরের জন্য আমার ভান্ডারে যথেষ্ট কিছু নেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নেপিয়ারে সাংবাদিকদের জেসিন্ডা বলেন, ‘আমি চলে যাচ্ছি, কারণ কাজটি কঠিন। এই পদটি কী তা আমি জানি। আমি জানি, এই পদের প্রতি সুবিচার করার মতো আর কিছু মজুত নেই আমার কাছে। বিষয়টি একেবারেই সহজ।’
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডার শেষ কর্মদিবস হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টিতে তার উত্তরসূরি নির্বাচনে ভোট হবে। দেশটির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী ১৪ অক্টোবর। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা হারান ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ৫৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচন। করোনাভাইরাস মহামারিতে সফল ব্যবস্থাপনার কারণে জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান।
২০১৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী সরকারপ্রধান হয়েছিলেন জেসিন্ডা। এর এক বছর পর তিনি দ্বিতীয় বিশ্বনেতা হন যিনি অফিসে থাকাকালীন সন্তান জন্ম দেন। করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ ট্রাজেডি এবং হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো কঠিন পরিস্থিতি সামলে নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেসিন্ডা। তবে মতামত জরিপ অনুসারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জেসিন্ডার অভ্যন্তরীণ জনপ্রিয়তা কমে গেছে।
এদিকে উপপ্রধানমন্ত্রী গ্রান্ট রবার্টসন জানান, তিনি তার নাম প্রস্তাব করবেন না।
পদত্যাগের পেছনে কোনো রহস্য নেই জানিয়ে আরডার্ন বলেন, আমি একজন মানুষ। আমরা যতদিন পারি ততদিন দিই এবং তারপরে (একদিন) সময় হয়। আমার জন্য, এটিই সময়।
তিনি বলেন, আমি চলে যাচ্ছি। কারণ, এই ধরনের বিশেষ সুবিধাযুক্ত চাকরির সঙ্গে বড় দায়িত্ব থাকে। আপনি কখন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত এবং কখন নন, তা জানাটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমাদের নতুন কাঁধের দরকার।