প্রকাশিত: ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২২
সারাদিন ডেস্ক
তোড়জোর করে আটঘাট বেঁধেই বরিস জনসন ফের কনজারভেটিভ নেতা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছিলেন। তবে মাঝ পথেই এই দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
কনজারভেটিভ প্রধান নেতার আসনে বসার মনোনয়ন পেতে বরিসের দরকার ছিল ১০০ এমপির সমর্থন। তবে সেখানে তিনি সমর্থন পেয়েছিলেন মাত্র ৫৭ জনের। বরিসের সরে যাওয়ায় এগিয়ে গেলে সাবেক ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাকে সমর্থন করছে ১৪৪ এমপি।
বরিস বিবৃতিতে বলেছেন, ১০২টি মনোনয়নের খুব উচ্চ বাধা দূর করেছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, এটি এখন সঠিক সময় নয়।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকাগুলোও ঋষি সুনাকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শিরোনাম ও খবর প্রকাশ করেছে প্রথম পাতায় করেছে। দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বরিস জনসন নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার হলো ঋষি সুনাকের জন্য।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ডেইলি মিরর ও দ্য সান একই রকম শিরোনাম করেছে। দুটি পত্রিকার শিরোনামে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ঋষি সুনাক। আর ডেইলি এক্সপ্রেসের শিরোনামে বলা হয়েছে, বসির সরে যাওয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে অপেক্ষায় ঋষি সুনাক।
এর আগে ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে অবকাশযাপন শেষে লন্ডনে ফেরেন বরিস জনসন। লন্ডনে ফেরার কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তোড়জোড় শুরু করেন । সে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ঋষি সুনাকের সঙ্গেও বৈঠক করেন বরিস।
যদিও এক বিবৃতিতে বরিস জনসন জানিয়েছেন তিনি ১০২ এমপির সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে প্রকাশ্যে তাকে সমর্থন দিয়েছিল ৫৭ জন। বরিস বলেছেন, তিনি ঋষি ও পেনির সাথে সমঝোতা করে জাতীয় স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেখানে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বরিস মনে করছেন, এখন এই পদে লড়াই করার জন্য সঠিক সময় নয়, তাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এখন সরে গেলেও ২০২৪ সালে কনজারভেটিভের হয়ে লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন জনসন। সূত্র: বিবিসি