সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে বিতর্কিত প্রশ্ন, চাকরি হারালেন ৩ সাংবাদিক

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত প্রশ্ন করার অভিযোগে তিন সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এই তিন সাংবাদিক তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি হারানোর আদেশ পান। তারা হলেন—এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ফজলে রাব্বি, দীপ্ত টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিজানুর রহমান এবং চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বাশার।

রাব্বিকে বরখাস্ত করে ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জুন সতর্কীকরণ এবং পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ও গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর পরপর দুইবার আপনাকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক কারণে বিশেষ বিবেচনায় চাকরিতে আবার পুনঃবহাল করা হয়। এর পরেও আপনি রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ পেশাগত দায়িত্ব পালন না করায় আপনাকে আজ থেকে চাকরি হতে বরখাস্ত করা হলো।’

মিজানুর রহমানকে বরখাস্তের বিষয়ে অফিস আদেশে দীপ্ত টিভি জানায়, ‘আপনাকে জানানো হচ্ছে যে আপনাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলো, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। আপনার সব পাওনা কাজী মিডিয়া লিমিটেডের কর্পোরেট অফিস থেকে সংগ্রহ করার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে, বাশারের নাম উল্লেখ না করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে চ্যানেল আই জানায়, ‘সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উত্তরপর্বে পেশাদারিত্ব প্রদর্শন না করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিষয়ে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষের তদন্ত শুরু ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান।’

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্রিফিংয়ে বিতর্কিত প্রশ্ন করেন এ তিন সাংবাদিক।

Nagad

এর মধ্যে ব্রিফিংয়ে দীপ্ত টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিজানুর রহমান প্রশ্ন করেন, ‘জুলাই মাসে ১৪০০ শহীদের কথা আপনি বলছেন কেন? এই সংখ্যা কোথায় পেয়েছেন? এবং কোন যুক্তিতে আপনি হাসিনাকে খুনি বলছেন? আদালত তো এখনো রায় দেয়নি।’

চ্যানেল আইয়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বাশার প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্য কীভাবে হবে যদি শোভাযাত্রায় আপনারা হাসিনার এফিজি রাখেন?’ আর এটিএন বাংলার রাব্বি প্রশ্ন করেন, ‘১৪০০ হত্যা করেছে, এটা আপনি কীঅভাবে বললেন?’