লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে আনতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতোমধ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুতের কাজ চলছে।


এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেশে ফেরাতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও ‘আশঙ্কামুক্ত’ নন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।