ধর্ষণের শিকার জুলাই শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৫

পটুয়াখালীর জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৭) আত্মহত্যা করেছেন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি গলায় ফাঁস দেন বলে জানিয়েছে পরিবার। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন।

জানা যায়, রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডের বি/৭০ নম্বর বাসায় নিজকক্ষে ফাঁস দেন লামিয়া। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচাতো ভাই কালাম হাওলাদার জানান, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে তিনি নিজেই দুমকি থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে মারাত্মক মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন লামিয়া। সামাজিক লজ্জা, চাপ এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এসব চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে দাবি তাদের।

এদিকে এক প্রতিবেশী জানান, সন্ধ্যায় মা-মেয়ে মিলে কাপড় কিনেছিলেন এবং পরদিন লঞ্চে করে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মাদরাসায় ছোট মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পর বড় মেয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশীর দাবি, লামিয়াকে ফোনে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে, যার কারণে সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

Nagad

এ বিষয়ে দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি এবং নিহতের পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”

পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান টোটন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তারা বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা কারাগারে আছেন।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।