ম্যাচ-ফিক্সিং অভিযোগে রাজস্থানের পাল্টা জবাব: টিকিট ইস্যু মূল কারণ?
আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে এমন অভিযোগে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। এবার চলতি আসরের মাঝপথে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে উঠেছে এমনই এক গুরুতর অভিযোগ। তবে বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন দাবি করে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি।
গত ১৬ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সুপার ওভারে এবং ১৯ এপ্রিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হারে রাজস্থান। উভয় ম্যাচেই জয় প্রায় নিশ্চিত মনে হলেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তাদের। এসব নিয়েই রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (আরসিএ) অ্যাড-হক কমিটির আহ্বায়ক জয়দীপ বিহানি অভিযোগ করেন, ওই দুই ম্যাচে ফিক্সিং হয়েছে।


তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ পাল্টা দাবি করেছে, টিকিট বরাদ্দ নিয়ে অসন্তোষ থেকেই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ম্যাচে যেখানে আরসিএ সাধারণত ১৮০০ টিকিট পেত, চলতি মৌসুমে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০০-১২০০-তে। এই হ্রাস নিয়েই আরসিএ-র অসন্তোষ।
রাজস্থান রয়্যালসের এক অভ্যন্তরীণ সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানায়, “বিসিসিআইয়ের নির্দেশে মৌসুমের শুরুতেই আরসিএ কমিটি ভেঙে দেওয়ায় আমরা রাজস্থান স্টেট স্পোর্টস কাউন্সিলের (আরএসএসসি) সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিন্তু অ্যাড-হক কমিটির কিছু সদস্য অতিরিক্ত টিকিটের দাবি করছেন, যা আমরা মানছি না। পুরো বিতর্কের মূল এখানেই।”
রাজস্থান রয়্যালস ম্যানেজমেন্ট এক চিঠিতে লিখেছে, “অ্যাড-হক কমিটির আহ্বায়কের সব অভিযোগ আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। জনসমক্ষে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল মাল্টি স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড (আরএমপিএল), রাজস্থান স্পোর্টস কাউন্সিল ও বিসিসিআইয়ের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
বিসিসিআইয়ের অবস্থান
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিট ২৪ ঘণ্টা মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।”