স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা, স্বীকারোক্তিতে সেলিম
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে রাশেদুল ইসলাম (৪০) নামে এক বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা করেছেন সেলিম হোসেন (৪২)। গ্রেপ্তারের পর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।
নিহত রাশেদুল তাড়াশ পৌরসদরের ওয়াপদাবাঁধ এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় পিকআপ ভ্যানচালক। অভিযুক্ত সেলিম আসানবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।


তাড়াশ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রাশেদুল। ২০ এপ্রিল আসানবাড়ি এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে গলা কাটা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই নিহতের ভাই থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম জানায়, তার স্ত্রী শেরজা খাতুন তালাক না দিয়ে আব্দুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান। স্ত্রীর ব্যাগে আউয়ালের ছবি, সিমের কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি পেয়ে সেলিম সিদ্ধান্ত নেন— আউয়ালকে ফাঁসাতে হবে। এজন্য বন্ধু রাশেদুলকে হত্যা করে তার লাশের পাশে আউয়ালের জিনিসপত্র রেখে হত্যাকে প্রেমঘটিত প্রতিশোধ হিসেবে সাজাতে চান।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় সেলিম কোমল পানীয়তে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাশেদুলকে ধানক্ষেতে নিয়ে যান। অচেতন হওয়ার পর তাকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন এবং আউয়ালের জিনিসপত্র লাশের পাশে রেখে পালিয়ে যান।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘুমের ওষুধমিশ্রিত কোমল পানীয়ের বোতল, একটি মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করেছে।
তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, “স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বন্ধু রাশেদুলকে খুন করেছেন সেলিম। গ্রেপ্তারের পর তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।”