শেখ হাসিনাকে দেওয়া ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিলের ভাবনায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদান করা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এএনইউ)। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুমের অভিযোগ সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি এই সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্যানবেরা টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনাকে “আইন” বিষয়ে সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এএনইউ’র সম্মাননা প্রদান কমিটি ডিগ্রিটি বাতিলের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিষ্ঠানে অতীতে কোনো নজির না থাকলেও বিষয়টি নিয়ে একটি পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই খবর এমন সময়ে প্রকাশ্যে এলো, যখন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

খবরে আরও বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং পরে প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, আন্দোলন দমনে পরিচালিত অভিযানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, কারফিউ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীকে “দেখামাত্র গুলি” করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, “শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করেন।”

Nagad

অন্যদিকে, বাংলাদেশ পুলিশ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করেছে। এই নোটিশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে তার অবস্থান শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতের একটি অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।