সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত শেষ করতে হাইকোর্টের ৬ মাস সময়সীমা নির্ধারণ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়ে শুনানিকালে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরসাদুর রউফ আদালতকে জানান, মামলার তদন্ত কাজ এখনও চলছে এবং তা সম্পন্ন করতে আরও কিছু সময় প্রয়োজন। রাষ্ট্রপক্ষ সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে আদালত ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করেন।


এর আগে, গত ৫ আগস্ট হাইকোর্টে মামলার তদন্তসংক্রান্ত নথিপত্র অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তবে পরে জানানো হয়, নথিগুলো পুড়েনি, তবে সেগুলো খুঁজে পেতে সময় লাগছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র্যাবকে মামলার তদন্ত থেকে সরিয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে—যেখানে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পিবিআই প্রধান, দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং র্যাবের একজন পরিচালক। আদালত তাদের ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বললেও ছুটির কারণে সে সময়ের মধ্যে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নিহত রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শুরুর পর প্রথমে তা ছিল শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তার অধীনে, পরে তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাস পর হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে যায়। তবে দীর্ঘ ১২ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়নি।
এদিকে, ২০১২ সালেই মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেছিল। রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়।