তথ্যসন্ত্রাস করে আমাকে থামানো যাবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ
‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’—এই শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।


হাসনাত বলেন, আমি সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি—আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কতটা বিলাসী জীবনযাপন করি। দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন আমাকে থামানো যাবে, তাহলে আপনি এখনও ভুল করছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম, যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে একা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, বিলাসিতা করতে চাইলে আপনাদের সঙ্গেই মিলেমিশে জীবন কাটাতে পারতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি, করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন, আমি ভারত আর ‘র’ এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না। আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোনো উদ্যোগকেও জীবন থাকতে সফল হতে দেব না।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার ব্যাংক ব্যালেন্স ও ট্যাক্স রিটার্ন সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, সবকিছুই একসেসযোগ্য, চাইলে আপনারাও দেখতে পারতেন। কিন্তু তা না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি—গতকালের মিটিংয়ে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা পর্যন্ত হয়নি। কেউ প্রমাণ করুক আমি কারও কাছ থেকে এক টাকাও নিয়েছি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
তিনি বলেন, প্রথম আলো বারবার সৎ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। ‘র’-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিন পরেই এ প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে—এটা নিছক কাকতালীয় হতে পারে না।
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, তথ্যসন্ত্রাস করে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন প্রাণ আছে, আমি দিল্লির সাম্রাজ্যবাদ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করলেও এ লড়াই থামবে না ইনশাআল্লাহ।