‘সংস্কার নিয়ে আলোচনা চালাতে চাই, বোঝাতে চাই বিএনপি কতটা সিরিয়াস’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলটির দফাভিত্তিক আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালাতে চাই। আজ শেষ না হলেও ভবিষ্যতে আলোচনা চলবে। আমরা বোঝাতে চাই—বিএনপি এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় কতটা আন্তরিক ও সিরিয়াস।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে কমিশনের সঙ্গে সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে ‘হ্যাঁ/না’ স্প্রেডশিট দিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে, তা বিভ্রান্তিকর এবং আমাদের মিসলিড করা হয়েছে। এটি দেওয়া উচিত হয়নি।

সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, বিএনপি সংবিধান, বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত মতামত দিয়েছে। “আজ আমরা হার্ড কপি জমা দিয়েছি। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে। আমরা সংবিধান সংস্কার দিয়ে শুরু করেছি। এরপর বিচার বিভাগ ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে ১৩১টি প্রস্তাব থাকলেও, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটে মাত্র ৭০টি বিষয় এসেছে। আমরা দফাভিত্তিক আলোচনা করছি—সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে রাষ্ট্রের মূলনীতি, প্রজাতন্ত্র—সব কিছু নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কমিশনের ২৫টি প্রস্তাবে তারা একমত, প্রায় ২৫টি বিষয়ে আংশিক একমত, আর বাকি প্রস্তাবগুলোতে তারা আপাতত একমত নন।

Nagad

বিচার বিভাগসংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চাই, তবে সেটা যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিক পদ্ধতিতে হয়, সেজন্য বিস্তারিত মতামত দিয়েছি।” তিনি জানান, বিস্তারিত প্রতিবেদনের ১৫০টি মতামতের মধ্যে ৮৯টির বিষয়ে মতামত দিয়েছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একমত বা মন্তব্যসহ একমত হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন ব্যতীত বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি অসাংবিধানিক হবে। ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন না হলে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সাংবিধানিক হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। বিচার বিভাগ কর্তৃক সংবিধান লঙ্ঘন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, কমিশনের কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। অনেক প্রস্তাবই সংবিধান সংশোধনের বিষয়।

বিএনপি ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় দফার আলোচনা বলে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে আরও দফা হবে। আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিচ্ছি।