ইতিহাস কখনো মোছা যায় না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মোছা যায় না, ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গাতেই রাখতে হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। গার্ড অব অনার শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী বা অস্থায়ী নয়, এই সরকারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এটি-ই আমাদের সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কিছু আরোপ করা যায় না। এই শপথগ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, যা সব সময় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে আদালতে প্রায় ২,৭০০ মামলা চলমান থাকায় তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। মামলাগুলোর নিষ্পত্তির পরই এটি প্রণয়ন করা হবে।

মুজিবনগরের ভাস্কর্য ভাঙচুর নিয়ে উপদেষ্টা জানান, “পুরো কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ভিত্তিতে নতুন করে ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে। ভুল কোনো উপাদান আরোপ করা হবে না এবং প্রকৃত ইতিহাস মোছারও চেষ্টা করা হবে না।”

এদিন ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।

Nagad

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার হুসাইন শওকত এবং মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ। একইসঙ্গে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গার্ড অব অনার প্রদানকারী জীবিত দুই আনসার সদস্য সিরাজ উদ্দিন ও আজিমউদ্দিনকে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।