অনলাইন জুয়া: তারকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

অনলাইন জুয়ার প্রচারণায় জড়িত তারকাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জুয়া সংশ্লিষ্ট সব ওয়েবসাইট, লিংক, গেটওয়ে অবিলম্বে বন্ধে সরকারের প্রতি নোটিশ পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর পক্ষে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বিটিআরসি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের বরাবর এই আইনি নোটিশ ইমেইলে পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জুয়া বেআইনি। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তায় অনলাইন জুয়া দেশে মহামারির রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এ আসক্তিতে ভুগছে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় শিশু-কিশোররাও জুয়ার ফাঁদে পড়ছে।

নোটিশে পাঁচটি মূল দাবি উত্থাপন করা হয়েছে:

১. অনলাইন জুয়া সংশ্লিষ্ট সব ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন, গেটওয়ে ও লিংক অবিলম্বে বন্ধ বা ব্লক করতে হবে।
২. গুগলসহ অন্য ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো যেন অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. জুয়ার প্রচারণায় যুক্ত তারকা, মোবাইল ব্যাংকিং ও তফসিলি ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুয়ার লিংক, সাইট বা অ্যাপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫. একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, অনেক দেশি-বিদেশি অনলাইন ক্যাসিনো ও অ্যাপে মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হচ্ছে। এতে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। নামকরা তারকারা নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এসব জুয়ার বিজ্ঞাপন করছেন। এমনকি কিছু টিভি ও অনলাইন মিডিয়াও এ ধরনের প্রচারে যুক্ত রয়েছে।

Nagad

পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাতে নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মডেল পিয়া জান্নাতুল, অভিনেত্রী শবনম বুবলি, সামিরা খান মাহি, নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি, অপু বিশ্বাস প্রমুখ বিভিন্ন সময় অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, ১৮৬৭ সালের জুয়া আইনের পাশাপাশি দণ্ডবিধি ও টেলিযোগাযোগ আইনের বিভিন্ন ধারায় জুয়া নিষিদ্ধ এবং তা প্রতিরোধে সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি রয়েছে।

পরিশেষে, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।