জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বটমূলে বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তবে অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ মুহূর্তে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শিল্পী ও দর্শনার্থীরা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথম সকালে, সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই—সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে—ভৈরবী রাগে রাগালাপের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ আয়োজন। এবার বটমূলে মোট ২৪টি পরিবেশনা ছিল, যার মধ্যে ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় শিশুদের ওপর যে গণহত্যা চলছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ফিলিস্তিনবাসীর সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি।’ এরপর তাঁর অনুরোধে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সবাই।

এবার ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজনের মূল বার্তা ছিল—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। অনুষ্ঠানটি আলোকিত হয় দেশপ্রেম, প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার গান দিয়ে।

অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হয় ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে। বরাবরের মতো এবারও বাঙালির এই ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছিল সর্বজনীন ও সার্বজনীন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষের এই আয়োজন করে আসছে ছায়ানট। এবারের আয়োজনকে সফল করতে তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে চলেছে মহড়া, আর ৮ এপ্রিল শুরু হয় বটমূলে মঞ্চ নির্মাণের কাজ।

Nagad