উৎসবের আমেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বর্ণিল শোভাযাত্রা, মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় এই শোভাযাত্রার সূচনা হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চারুকলা প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে রাঙানো। ভোরের আলো ফুটতেই জনস্রোত জমতে শুরু করে। আশপাশের এলাকা—রমনা, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ছিল উপচে পড়া ভিড়।

শোভাযাত্রায় অংশ নেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ নানা বয়সী মানুষ। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকরা এতে অংশ নেন।

শোভাযাত্রায় মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বাঘ, পাখি, মাছসহ নানা বিশালাকৃতির শিল্পকর্মে তুলে ধরা হয় গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতিনির্ভর মানুষের সংগ্রামের রূপ।

শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও মানুষ ছুটে এসেছেন এই বর্ণিল আয়োজনে অংশ নিতে। সবাই সেজেছেন লাল, হলুদ, সবুজ ও কমলা রঙের পোশাকে। নারীদের মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি; শিশুদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস, হাতে পতাকা আর মুখোশ নিয়ে তারা যোগ দেয় আনন্দমিছিলে।

এক দর্শনার্থী বলেন, ‘প্রতি বছর এই শোভাযাত্রার জন্য অপেক্ষা করি। এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা ও ঐক্যের প্রতীক।’
ঢাবির শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এত মানুষ একসঙ্গে হওয়ার আনন্দই সবচেয়ে বড়। ঐতিহ্যকে এভাবে উদযাপন করার অনুভূতি অন্যরকম।’

Nagad

শোভাযাত্রা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কঠোর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’— এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর ও বাংলা একাডেমি ঘুরে আবার চারুকলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।