জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামবে: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আশা প্রকাশ করেছেন, চলতি অর্থবছরের জুনের মধ্যে দেশে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নামবে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে অর্থপাচার ও সমসাময়িক ব্যাংকিং বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

গভর্নর জানান, আগের তুলনায় তথ্যের স্বচ্ছতা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে এখন মূল্যস্ফীতির প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে। গত আগস্টে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.৫ শতাংশ, যা মার্চে নেমে আসে ৮.৫ শতাংশে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে কিছুটা কমে এখন ৯ শতাংশের একটু ওপরে রয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা আংশিক সফল হয়েছে। সামনে আরও কমবে বলে আশাবাদী। মূল্যস্ফীতি কমলে সুদের হারও কমিয়ে আনা হবে।”

বর্তমানে পলিসি রেট ১০ শতাংশ রাখা হয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, “মূল্যস্ফীতির তুলনায় পলিসি রেট পজিটিভ রাখতে হয়। আগে এই গ্যাপ ছিল বড়, এখন তা ঠিক করা হয়েছে।”

অর্থপাচার বিষয়ে গভর্নর বলেন, “বাংলাদেশ একটি বড় ভিকটিম। কিছু গোষ্ঠী ব্যাংক খাত ব্যবহার করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। চট্টগ্রামের একটি বড় গ্রুপ সোয়া লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। বেক্সিমকোসহ আরও কয়েকটি বড় গ্রুপের নামও উঠে এসেছে।”

Nagad

তিনি জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিক সংযোগ বাড়ানো হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশের ল’ ফার্মের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। “আগামী ছয় মাসের মধ্যে কয়েকটি দেশের পাচার হওয়া সম্পদ ফ্রিজ করতে পারলে সেটিই হবে আমাদের প্রাথমিক অর্জন।”

দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি নেই, রিজার্ভ স্থিতিশীল। রপ্তানি কিছুটা মন্থর হলেও রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন এসেছে—২৬-২৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে অর্থপাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”