প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে গত ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা, পুতুল এবং আরও ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ রাজউকের একাধিক সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।


অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের জন্য ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ মামলা করা হয়। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে গঠিত কমিশনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।
মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ প্রদান ও গ্রহণ করেন। যা দুর্নীতি হিসাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও পর্যায়ক্রমে মামলা করা হবে।