ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি ব্যাংক গড়ার পরিকল্পনা: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৫

দেশে কার্যরত ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করে বড় দুটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে পুরোদমে নতুন কাঠামো ও নিয়ন্ত্রন কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, একটি বড় এবং একাধিক ছোট ইসলামী ব্যাংক রয়েছে দেশে। এর মধ্যে অনেকগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ কারণে এগুলো একীভূত করে দুটি বড় ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তর করা হবে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক পরিচালনার জন্য এখনো যথাযথ নিয়ন্ত্রক কাঠামো নেই। তাই আইন ও তদারকি ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে বৈশ্বিক উত্তম চর্চা অনুসরণ করা হবে।

ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে বিদায়ী সরকারের আমলে ব্যাপক অর্থ পাচার হয়েছে বলেও জানান গভর্নর। তিনি বলেন, অর্থ পাচারকারীদের জীবন কঠিন করে তোলা হবে। তাদের অর্থ পুরোপুরি উদ্ধার সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে যাতে কেউ অর্থ পাচার করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও দুই ব্যাংকে একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের মুখে একটি ব্যাংক নিজেদের কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে বলেও জানান তিনি।

গভর্নর জানান, ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। এতে বোর্ড সদস্য ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শক্তিশালী করার পাশাপাশি ব্যাংক খাতে দ্বৈত শাসন কমিয়ে আনার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

Nagad

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানজনক খাতে রূপান্তরের লক্ষ্যের কথাও বলেন গভর্নর। তবে এজন্য সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে প্রভাব ফেলছে এমন ক্রমবর্ধমান নিয়মকানুন এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশ্লেষণমূলক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান।