মার্কিন পণ্যে শুল্ক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ: প্রেস সচিব

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সংগৃহীত ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে বাংলাদেশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুততম সময়ে শুল্কহার যৌক্তিক করতে বিভিন্ন বিকল্প বিশ্লেষণ করছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর ইতিবাচক সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, ২ এপ্রিল (বুধবার) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপ করা হবে।

এছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।

বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণার পর, বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মার্কিন বাজারে প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। ফলে এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Nagad

কী করছে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনা শুরু করেছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা মার্কিন পণ্যের শুল্ক হার পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শুল্ক পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে পারস্পরিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত
অর্থনীতিবিদদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ রপ্তানিনির্ভর সম্পর্ক বজায় রাখতে কৌশলী আলোচনা প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিকল্প বাজার খুঁজে বের করাও জরুরি, যাতে একক নির্ভরতা কমানো যায়।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে।