রোজা শুরুর আগেই বোতলজাত সয়াবিনের তীব্র সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৫

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় এবং ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের রমজানে পণ্যের দাম বেশ কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তবুও, প্রায় চার মাস ধরে চলা ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট কাটেনি, বরং তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। এছাড়া চালের দামেও কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে।

গত বছর রোজা শুরুর আগের পরিস্থিতি অনুযায়ী, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর, গরুর মাংস, রসুন, আলুর দাম ৪ থেকে ১৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। তবে এবছর চিনি, খেজুর, ডাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমেছে, আর কিছু পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের এক মুদি ব্যবসায়ী জানান, যদি তেলের সংকট না থাকতো, তবে এবারের বাজার একদম স্থিতিশীল হত। তবে, সয়াবিন তেলের সংকট বাড়ছে। বাজারে এক বা দুই লিটারের বোতলও পাওয়া যাচ্ছে না এবং ক্রেতাদের ৫ লিটার তেল কিনতে হচ্ছে। খোলামালে তেল পাওয়া গেলেও দাম ১৭৫ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ সংকটের কারণ মূলত ভোজ্যতেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করা। সরকার ৯ ডিসেম্বর সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে প্রতি লিটার তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরও জানুয়ারি থেকে তেলের সংকট অব্যাহত থাকে, যার ফলে দাম বাড়ে।

এছাড়া, গত বছরের তুলনায় এই বছর খেজুরের আমদানি দ্বিগুণ হয়েছে, ফলে খেজুরের দাম কমেছে। চিনির দামও স্থিতিশীল রয়েছে এবং মসুর, খেসারি ডাল, ছোলা দাম কমেছে।

তবে, কাঁচাপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে রমজানে পণ্য বাজারে কিছু অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে বেগুন, শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, গাজর এবং ধনেপাতার দাম কিছুটা বাড়ছে, তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় তা আকাশচুম্বী হয়নি।

Nagad