কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন, সেনাপ্রধানের সতর্ক বার্তা
নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি বন্ধ না হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে তিনি এসব কথা বলেন।


সেনাপ্রধান বলেন, হানাহানি না করে জাতির স্বার্থে সবাইকে এক থাকতে হবে। কাদা ছোড়াছুড়ি চলতে থাকলে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আগেই সতর্ক করছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সহযোগিতা করছেন।
নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার বলেন, আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা—দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনানিবাসে ফিরে যাওয়া।
তিনি বলেন, পুলিশের অনেক সদস্য জেলে থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না। র্যাব ও বিজিবির মধ্যেও আতঙ্ক রয়েছে। ৩০ হাজার সেনা সদস্য দিয়ে পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি। ১৮ মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্বেষ কারও কারও থাকতে পারে, তবে আমাদের আক্রমণ নয়, সহযোগিতা করুন। আমরা ভালো পরামর্শ গ্রহণ করব, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সাত মাসে অনেক হয়েছে। এনাফ ইজ এনাফ। আমি চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ রেখে যেতে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তার স্মরণে সেনাপ্রধান বলেন, এটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল। বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবেন না। যারা শাস্তি পেয়েছেন, তারা এর যোগ্য। বাইরের শক্তি বা রাজনৈতিক প্রভাব এতে যুক্ত ছিল কি না, তা খুঁজে বের করা উচিত। সেনাবাহিনীসহ সব ডিসিপ্লিন ফোর্সকে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে দিন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী টিকে আছে কারণ তাদের মধ্যে ডিসিপ্লিন রয়েছে।