চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে প্রত্যাহার
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতেই তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।
গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘আমরি ট্রাভেলস’-এর একটি বাস চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছালে ৮-৯ জন ডাকাত যাত্রী সেজে ওঠে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া ফ্লাইওভার পার হওয়ার ৫-৬ মিনিট পর ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে।


ডাকাতরা চালকের গলায় ধারালো চাকু ধরে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন ডাকাত এক নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ডাকাতরা তিন ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে শেষে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। বাসচালক ও তার সহকারী গন্তব্যে যেতে টালবাহানা করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় বাসটি নিয়ে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে অন্য থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরে তিন বাস স্টাফকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়, তবে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মির্জাপুর থানায় অবশেষে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসযাত্রী ওমর আলী একটি মামলা করেন। মামলায় ৮-৯ জন অজ্ঞাত ডাকাতকে আসামি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ওসি সিরাজুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ঘটনার যৌথ তদন্ত চলছে।