রাজধানীতে সড়ক আটকে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, যান চলাচল ব্যাহত
মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত নিয়ম বাতিলের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা। ফলে তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার মিরপুর-১৩, মগবাজার, রামপুরাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সিএনজি চালকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সকাল ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ করার কারণে বাড্ডা থেকে রামপুরার দিকে এবং রামপুরা থেকে কুড়িল অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও গাবতলী ও যাত্রাবাড়ী প্রবেশপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।


গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পুলিশের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। এতে সরকার নির্ধারিত মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করলে চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়:
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে চালকদের ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। এছাড়া চালকদের লাইসেন্সে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কর্তনের বিধান রয়েছে।
এই চিঠির বিরোধিতা করেই সিএনজি চালকরা আন্দোলনে নেমেছেন।
সিএনজিচালকরা বলছেন, মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, পথে পথে চাঁদাবাজি, স্ট্যান্ডের নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায়সহ নানা কারণে তারা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অটোরিকশা চালাতে পারেন না। অতিমুনাফালোভী মালিকদের জন্য তারা বাধ্য হয়ে মিটার ছাড়া সিএনজি চালান। কারণ, প্রতি শিফটে মালিককে জমা দিতে হয় ৯৫০ টাকা। আর রাতের শিফটে সকাল ৬টা অবধি চালালেও মালিককে দিতে হয় ৯০০ টাকা।
সিএনজি চালকরা বলছেন, তারা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।