কেনাকাটার কথা বলে নিখোঁজ, হাতিরঝিলে মিলল স্কুলছাত্রীর লাশ, গ্রেপ্তার
অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং লাশ হাতিরঝিলে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো রবিন ও রাব্বি। রবিন একজন গাড়িচালক এবং রাব্বির কোনো নির্দিষ্ট পেশা নেই।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, কিশোরীর সঙ্গে তাদের অনলাইনে পরিচয় হয়। এরপর তারা তাকে মহাখালীর একটি ফ্ল্যাটে ডেকে আনে। সেখানে রবিনসহ পাঁচজন মিলে কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে এবং পরে তাকে হত্যা করে। এরপর তারা লাশ বস্তাবন্দি করে হাতিরঝিলে ফেলে দেয়।


পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কিশোরী দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ জানুয়ারি সে কেনাকাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় এবং নিখোঁজ হয়। এরপর তার বাবা ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ২৭ জানুয়ারি তিনি একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। রবিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। এরপর পুলিশ রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, তারা পাঁচজন মিলে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই রোববার ওই কিশোরীর মরদেহ হাতিরঝিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রবিন ও রাব্বি মৃধা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।