তাইওয়ানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিপসিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ, তথ্য নিরাপত্তার শঙ্কা
তাইওয়ান সরকার চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের সব ধরনের সেবা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) তাইওয়ানের ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়। মন্ত্রণালয়ের দাবি, ডিপসিকের প্রযুক্তি তথ্য নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরেই চীনা প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ অব্যাহত রেখেছে।


ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ডিপসিকের এআই পরিষেবা চীনা প্রযুক্তি হওয়ায় এটি আন্তর্জাতিক ডাটা ট্রান্সমিশন ও তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যা তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে এবং সময়োপযোগী তথ্য সুরক্ষা নীতি গ্রহণ করবে।
এদিকে, শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য গোপনীয়তা সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষও ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ডিপসিক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করবে।
শুধু তাইওয়ান নয়, ফ্রান্স, ইতালি ও আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও ডিপসিকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারের নীতি খতিয়ে দেখছে।
ডিপসিক ইতোমধ্যে বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে এর ফ্রি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যাটজিপিটির তুলনায় বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
এছাড়াও, মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের শেয়ার বিক্রির প্রভাবে ওয়াল স্ট্রিটে এনভিডিয়া একদিনে ৫৯৩ বিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছে, যা এ পর্যন্ত কোনো একক কোম্পানির সবচেয়ে বড় দৈনিক ক্ষতি। সূত্র: রয়টার্স