ছাত্র আন্দোলনের মুখে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
ছাত্র আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশটির রাজধানী বেলগ্রেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে যোগ দেন কৃষকরাও। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো অবরোধের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে থাকে।


গত বছরের ১৫ নভেম্বর নোভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। তাদের দাবি, স্টেশন নির্মাণকাজে দুর্নীতি না হলে এই প্রাণহানি এড়ানো যেত।
আন্দোলন জোরদার হলে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সোমবার ছাত্ররা রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র অটোকোমান্ডা জংশন অবরোধ করে, যার ফলে পুরো রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটলেও তা দমন করা সম্ভব হয়নি। বরং আন্দোলন ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে শতাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে থাকেন।
বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার মিলোসি ভুকেভিক পদত্যাগ করেন। আন্দোলনকারীরা এই পদত্যাগকে তাদের বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন এবং সার্বিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।