নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি আজ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি হবে।

এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে পরবর্তী তারিখ ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ওইদিন শুনানির ধারাবাহিকতায় আজকের দিন নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে জামায়াতের পক্ষে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতে উপস্থিত থাকবেন।

প্রথম দিনের শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “রিটটি জনস্বার্থে করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও, প্রকৃতপক্ষে এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। যাঁরা রিট করেছিলেন, তাঁদের সেই এখতিয়ার নেই। তাছাড়া, রিটটি তখনই করা হয়েছে, যখন নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি বিচারাধীন ছিল। ফলে এটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

শুনানিতে আদালত নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য পক্ষকে পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গত ২২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামায়াতের বাতিল হওয়া নিবন্ধন পুনরায় সক্রিয় করার আবেদন মঞ্জুর করেন। শিশির মনির জানান, “হাইকোর্টের দেওয়া সার্টিফিকেট অনুযায়ী, এটি একটি সাংবিধানিক ইস্যু। শুনানি ছাড়া এ ধরনের মামলা খারিজ করা যায় না। তাই আপিল পুনরুজ্জীবনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

নিবন্ধন ফিরে পেলে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীকও ফেরত পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। শুনানির সময় প্রতীক পুনর্বহালের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

Nagad

এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়।

জামায়াতের আপিল মঞ্জুর হলে দলটি আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। তবে এর বিরোধিতা করে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কও সৃষ্টি হতে পারে।

আজকের শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করবেন। আদালতের সিদ্ধান্ত নিবন্ধন পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।