চিকিৎসা ব্যয়ে বাড়তি চাপ, পুনর্বিবেচনার দাবি ব্যবসায়ীদের

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫

সরকারি কর ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে রোগীর ওপর চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা আরও বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মেডিকেল সরঞ্জামের দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে মেডিকেল ডিভাইস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও অফথালমিক প্রোডাক্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে এসব দাবি উঠে আসে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, হার্টের রিং, চোখের লেন্সসহ আমদানি-নির্ভর চিকিৎসা সরঞ্জামের নির্ধারিত দাম বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার প্রভাব পড়ছে চিকিৎসা খরচে। ডলারের মূল্য ১১০ টাকা ধরে দাম নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে ব্যাংকিং খাতে তা ১২৫-১২৭ টাকায় পৌঁছেছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শামীম হায়দার আশ্বাস দিয়েছেন, রোগীর ওপর চাপ পড়ে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তবে ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য।

ব্যবসায়ীরা আরও দাবি করেছেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করা, ভ্যাট প্রাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে দাম সমন্বয় করা। তবে ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূল্য না বাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

Nagad

এ বিষয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আবদুল মুক্তাদির বলেছেন, দেশের ওষুধের বাজার ৩০ হাজার কোটি টাকার। তবে বিদ্যুৎ, বেতন ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ওষুধ উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে রোগীদের সাশ্রয়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সূত্র: সমকাল