গাজীপুরে পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারী পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শ্রীপুরের কাওরাইদ (মোড়লপাড়া) এলাকার সাগর (২৫), শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণখণ্ড এলাকার আশরাফুল ইসলাম (২৯) এবং নেত্রকোণা সদর উপজেলার হাটখোলা বাজার এলাকার মনিরুল ইসলাম নিরব (১৮)।


পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় মোট সাতজনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২৩ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারী শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন এবং স্থানীয় ইশরাক স্পিনিং মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তার এক সহকর্মী নাজমুল হক তাকে ফোন করে জানায় যে, সে সমস্যায় পড়েছে এবং তাকে ফখরউদ্দিন মোড়ে এসে সহায়তা করতে বলে।
নারীটি সেখানে গেলে অভিযুক্ত সাগর তাকে স্থানীয় নজরুল ইসলামের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, নাজমুলকে মারধর করা হচ্ছে। তিনি বাধা দিলে অভিযুক্তরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাগর ও আশরাফুল তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে অজ্ঞাত তিনজন ওই ঘরে প্রবেশ করে এবং তারাও তাকে ধর্ষণ করে। পরে মনিরুল ইসলাম নিরব তাকে একটি অটোরিকশা ভাড়া করে বাসায় ফিরিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
নাজমুল হক জানিয়েছেন, তিনি বেতনের টাকা তুলে বাসায় ফিরছিলেন। পথে অভিযুক্তরা তাকে ফখরউদ্দিন মোড়ে ডেকে নিয়ে যায় এবং একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে। তারা তার কাছ থেকে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৪ হাজার টাকা দিয়ে তিনি তাদের হাত থেকে রেহাই পান।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, “মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হবে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”
এ ঘটনায় শ্রীপুর এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।