ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানির পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (৮ জানুয়ারি) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, সীমান্তে হত্যার পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। শামিমা আক্তার নামের একজন বলেন, “অনেক ভালো কাজ করছেন।” মশিউর রহমান নামের একজন লিখেছেন, “কাঁটাতারের ফেলানী, আমরা তোমায় ভুলিনি।”


প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কিশোরী ফেলানি খাতুন (১৪) নিহত হন। এরপর তার মরদেহটি সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফেলানির মরদেহ ঝুলে থাকার কাটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে। এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর পতাকা বৈঠক শেষে ফেলানির মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আগস্টে ভারতের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস আদালতে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। এর পরের মাসেই আসামি বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর সেই বিশেষ আদালত। এই রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানির বাবা নুর ইসলাম। এরপর ২০১৪ সালের আবারও ফেলানীর হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সেটি থেকেও খালাস পান অমিয় ঘোষ।