যাত্রা শুরু করলো ‘বাংলাদেশ ই-স্পোর্টস কার্নিভাল, পার্টনার ‍গিগাবাইট

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৫

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গেমিং ও রোবোটিকসে দক্ষতা বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ ই-স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৫’। বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে দেশের তরুণদের এগিয়ে নিতে এই আয়োজন করছে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস প্রোগ্রামিং অ্যান্ড রোবোটিকস ক্লাব (বিএসপিআরসি)।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি চার তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কার্নিভালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গিগাবাইটের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো. আনাস খান বলেন, ই-স্পোর্টস যে সকল ছাত্ররা খেলে তারা খুব মেধাবি। মেধা ছাড়া গেম খেলা যায় না । মেধা ছাড়া কাজ করতে পারবে না। ই-স্পের্টস খেলোয়াররা ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী হয়।

বক্তরা বলেন, তরুণদের গেমিং ও রোবোটিকসের ক্ষেত্রে সৃজনশীল দক্ষতা আবিষ্কার করতে অনুপ্রাণিত করা এবং আধুনিক চাকরির বাজারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে এ কার্নিভালের উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দেশের তরুণ মেধাবীরা উদ্ভাবনী প্লাটফর্ম পাবেন। এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক ই-স্পোর্টস এবং রোবোটিকস প্লাটফর্মে তাদের সম্ভাবনা প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে তৈরি হবে একটি স্মার্ট যুবসমাজ। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচিত করবে এ কার্নিভাল।

সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা বলেন, আজকে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অন্যতম একটি দিন হতে যাচ্ছে। আমাদের দেশে গেমিং কিংবা রোবোটিকসকে সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় না। যে কারণে আমাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রযুক্তি বলতে শুধুমাত্র কম্পিউটার সায়েন্সকে বুঝায় না। এর সঙ্গে আরো অনেক কিছু জড়িত আছে। আমাদের অনেকেই রোবট, গেমিং বিষয়ে জানি না। কিন্তু উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখবেন তারা এসব ক্ষেত্রে কতটুকু এগিয়েছে। আমাদের পিতা-মাতারা মনে করে গেমিং করলে সন্তান খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটিও একটি মেধার জায়গা। এখানে মেধাবীরাই এগিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও অনেক মেধাবী আছেন যারা বিশ্বের অনেক প্রতিযোগিতায় চ্যম্পিয়ন হয়েছে। অথচ এটি সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।

তারা বলেন, দেশে আমরা যারা গেম, রোবট নিয়ে কাজ করি সেগুলোর স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রের কাছে আমাদের একটি দাবি রয়েছে। সেটি হলো প্রযুক্তি নির্ভর এ ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে একটি ফেডারেশন গঠন করা। এখন বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি রোবোটিকসকে অ্যাকাডেমিক্যালি করার চেষ্টা করছে। সেক্ষেত্রে তারাও ফেডারেশন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাদেরও দাবি জানাতে হবে।

Nagad

প্রসঙ্গত, এ কার্নিভালে অংশগ্রহণে আগ্রহী তরুণ শিক্ষার্থীরা আজ থেকে রোবোটিকস, মোবাইল, পিসি ও অ্যাপ্লিকেশনস বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। আঞ্চলিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা শেষে রাজধানীতে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা গেমিং মডেল ডিজাইন প্রতিযোগিতা এবং বিষয়ভিত্তিক মডেলসহ নতুন আইডিয়া প্রদর্শন (যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য), বট প্রতিযোগিতা (ব্যাটল বট, বট সকার ও লাইন ফলোয়িং পাজল সলভ) এবং ভার্চুয়াল গেম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

ফয়সাল তিতুমীরের উপস্থানায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএআরএফের প্রেসিডেন্ট ড. মাহবুবুর রহমান, বিএসপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান, বিএসপিআরসির প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা জাহান, স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. নওজিয়া ইয়াসমিন, এটিএন বাংলা’র সিনিয়র উপদেষ্টা (প্রোগ্রাম) নাওয়াজিহ আলী খান এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি’র সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ রেজা এম ফাহাদ হোসেসোমবার রাজধানীর হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে ইভেন্টটির কো-পার্টনার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

ইভেন্টের আরও তথ্য জানা ও রেজিস্টেশন করা যাবে এই esportscarnival.com ওয়েবসাইটে।