গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না : জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজ দেশের মানুষকে হত্যা ও নির্মম অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের গণতান্ত্রিক পরিবেশে থাকা উচিত নয়, বরং তারা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।


শফিকুর রহমান শিবিরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সত্যের পথে থাকতে হবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে স্থান দেওয়া যাবে না।” তিনি আরও বলেন, ছাত্রসমাজ কখনও দুর্নীতি ও দুঃশাসন মেনে নেয় না, এবং তারাই সবসময় আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব পাশের দেশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নষ্ট করেছে। জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দেশকে শাসন করার জন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনা জাতি কখনও ভুলবে না। সেই সময় ফ্যাসিস্ট নেত্রী যুদ্ধের মুখোমুখি করেছিলেন।” তিনি শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষার জন্য সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, তিনি শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, “আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিগত সরকার আমলে ভেঙে গেছে, ক্যাম্পাসগুলো অস্ত্রাগারে পরিণত হয়েছিল।” তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এই ধ্বংসাত্মক পরিবেশের কবর রচনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমির, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোওয়ারসহ আরও অনেকে।
এদিকে, ছাত্র নেতারা জানিয়েছেন, ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রশিবির অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং ভবিষ্যতে যেকোনো আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করবে।