জাহাজে ৭ হত্যাকাণ্ড: ছেলের শোক সইতে না পেরে বাবারও মৃত্যু

মাগুরা সংবাদদাতা:মাগুরা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ২:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

চাঁদপুরের হাইমচরে এমভি আল-বাখেরা জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সজীবুল ইসলামের বাবা দাউদ মোল্যা ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন। ছেলের শোকে বাবার এমন মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত মঙ্গলবার সজীবুলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে দাউদ মোল্যা অনবরত কাঁদতে থাকেন। স্বজনেরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শোকের তীব্রতায় একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নিজ বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সজীবুলের মামা আহাদ সরদার শুক্রবার সকালে দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ সজীবুলের বিয়ের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো। সজীবুল পদোন্নতি পেলে বেতন বাড়বে এবং বড় জাহাজে চাকরি হবে, এই আশায় পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে বাড়িতে ধান কাটার কাজও করেছিলেন। যাওয়ার সময় তিনি পরিবারকে বলে গিয়েছিলেন যে, ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে তিনি ছোট একটি জাহাজে কাজ করবেন, যাতে কিছু রোজগার হয়। কিন্তু তার সেই আশা আর পূরণ হলো না।

পাঁচ বছর ধরে সজীবুল জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তিনি পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি এমভি আল-বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে যোগ দেন।

সজীবুল ইসলামের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। মাত্র পাঁচ মাস আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সজীবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ তিনি রাতেই জানতে পেরেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন।

Nagad