শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেছেন, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়ার পরেই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো একটি স্বাভাবিক ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। তিনি বলেন, গতকাল শেখ হাসিনা এবং তার সহযোগীদের নথি চাওয়ার পর সচিবালয়ে আগুন লেগে জরুরি নথি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় জনমনে সন্দেহ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রিজভী এ সময় এই ঘটনার নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় তদন্তের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চাওয়া হয়েছে। এরপরেই গভীর রাতে সচিবালয়ে আগুন লেগেছে, যা জনমনে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আগে দেখেছি, যখন কোনো এমপি বা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠে, তখন সচিবালয়ের ফাইলগুলো গায়েব হয়ে যায়।”

রিজভী আরও বলেন, “রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদি গোয়েন্দা সংস্থা নির্ধারণ করে দেয় কারা নির্বাচিত হবে, তাহলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কী দাম থাকবে?”

ভারতের বিষয়ে রিজভী বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। ভারত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং শেখ হাসিনার মাধ্যমে তাদের নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর, পরিবর্তিত বাংলাদেশকে শুধু ভারত ছাড়া সবাই স্বীকৃতি দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের আত্মত্যাগ অস্বীকার করা যাবে না। এই সরকারের ভেতরে বিএনপিকে ভাঙার জন্য একটি প্রচেষ্টা চলছে, যা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।”

রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের তৈরি সাইবার সুরক্ষা আইনের কোনো পার্থক্য নেই এবং এই আইনের রুট কিছু ভালো ফল নিয়ে আসবে না।

Nagad

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব এবং স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শারাফত আলী সপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।