বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা: জড়িতদের খুঁজছে পুলিশ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমান করার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশ সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নেমেছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কানুকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি গলায় জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনার পর তার পরিবার জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কানু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিডিও দেখে সাতজনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তবে তাদের কেউই এলাকায় নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধ এবং ব্যক্তিগত ঝামেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এদিকে, জেলা মুক্তিযোদ্ধা নেতারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ১২ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। তারা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কানু আওয়ামী লীগ করেও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। কারাগারে গেছেন। তার ভুলক্রটি থাকলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু এভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানানো ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা সরকারকে বলবো ১২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। না হয় সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামবেন।’
এর আগে রোববার দুপুরের দিকে চৌদ্দগ্রামের নিজ এলাকা কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করা হয়। জুতার মালা পরিয়ে তাকে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়ার ১ মিনিট ৪৬ মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধার কানুর গলায় জুতার মালা দিয়ে তাকে এলাকা এমনকি কুমিল্লায় থাকতে পারবেন না বলে হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় ক্ষমা চেয়ে ও এলাকায় আসবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এলাকা ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তিনি অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। তার গ্রামের বাড়ি ঘটনাস্থলের অদূরে লুদিয়ারা গ্রামে।