স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপে ক্যানসারের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা
স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, স্মার্টওয়াচের বেল্টে থাকা বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। খবর ডেইলি মেইলের।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপে ব্যবহৃত পেরফ্লুরোঅ্যালকাইল এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল সাবস্ট্যান্সেস (পিএফএএস) নামক রাসায়নিক পদার্থ ক্যানসারসহ বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এগুলোকে ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ বলা হয়, কারণ এগুলো শরীর বা পরিবেশে সহজে ভাঙে না।


পিএফএএস সাধারণত ফ্যাব্রিক, ননস্টিক প্যান ও কসমেটিকস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি বাতাস, পানি, মাটি এবং বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে পাওয়া গেছে। কিছু গবেষণায় এটি জন্মগত ত্রুটি, প্রোস্টেট ক্যানসার, কিডনি ক্যানসার, টেস্টিকুলার ক্যানসার এবং বন্ধ্যাত্বের সাথে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষকরা ২২টি স্মার্টওয়াচ ব্র্যান্ড পরীক্ষা করে দেখেছেন, যার মধ্যে ১৫টি ব্র্যান্ডে পিএফএএসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে কোন ব্র্যান্ডগুলোতে এই রাসায়নিক বেশি ছিল, তা প্রকাশ করা হয়নি।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, তুলনামূলক বেশি দামের স্মার্টওয়াচগুলোতে এই রাসায়নিকের মাত্রা বেশি ছিল। এ ধরনের ডিভাইস বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয়, বিশেষ করে ঘুম, ব্যায়াম এবং হার্টবিট মনিটর করার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং যুক্তরাজ্যে ৩৫ শতাংশ মানুষ স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করেন। এর মানে প্রতিদিন গড়ে ১১ ঘণ্টা করে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন আমেরিকান এবং ১৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ দীর্ঘ সময় ধরে এসব রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসছেন।
প্রথাগতভাবে পিএফএএস শরীরে প্রবেশ করে খাবার বা শ্বাসের মাধ্যমে। তবে গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ত্বকের সংস্পর্শে থাকলে এটি ত্বক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যদিও এটি শরীরের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, যারা স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করেন, তারা স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করে বিকল্প মেটেরিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া দীর্ঘ সময় স্মার্টওয়াচ ব্যবহারে বিরতি নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল