অর্ধেক কোটা ফাঁকা রেখে শেষ হলো হজ নিবন্ধন
২০২৫ সালের হজের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে রোববার (১৫ ডিসেম্বর)। হজ খরচ এক লাখ টাকার বেশি কমানো এবং তিন দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। এবার নিবন্ধনের চূড়ান্ত সংখ্যা সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মিলে ৭০ হাজার, যা মোট কোটার মাত্র ৫৫ শতাংশ।
সরকারি হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন ৬২ হাজার ২১২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৭৫৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৭ হাজার ৪৫৩ জন। এছাড়া প্রায় ৮ হাজার হজযাত্রী ব্যাংকে ভাউচার জমা দিয়েছেন।


নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন ধর্ম মন্ত্রণালয়। খরচ কমানো হলেও বিমান ভাড়ার উচ্চতার কারণে অনেকেই নিবন্ধনে আগ্রহী হননি। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে বিমান ভাড়া কমানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও ২৭ হাজার ৮২০ টাকা কমিয়ে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
সরকার ঘোষিত প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় সাশ্রয়ী। তবে খাবারের খরচ ও কোরবানির টাকা আলাদাভাবে যোগ করার কারণে অনেকেই প্যাকেজকে ব্যয়বহুল মনে করছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ অনুবিভাগ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, সৌদি সরকারের আল্টিমেটিভের কারণে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো সম্ভব নয়। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনকারীদের টাকা সৌদি সরকারের কাছে পাঠাতে হবে, না হলে নির্ধারিত তাঁবু পাওয়া যাবে না।
আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে চাঁদ দেখাসাপেক্ষে। তবে হজের কোটা পূরণ না হওয়া এবং নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।