গুম কমিশন: র‍্যাব বিলুপ্তি এবং গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার অভিযোগ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪

মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। একইসঙ্গে জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার অভিযোগও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের প্রথম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ হস্তান্তর করা হয়। পাঁচ সদস্যের এই কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

প্রতিবেদনে গুমে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিত করা এবং র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন জানায়, জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করা কঠিন করে তুলতে ফোর্সগুলো পরিকল্পিতভাবে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং বলেন, গুমের শিকারদের সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। কমিশন জানায়, চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে আরও এক বছর সময় লাগবে এবং আগামী মার্চে দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেবে।

এই সময়ে কমিশনের সদস্যরা আয়নাঘর নামে পরিচিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শনের আহ্বান জানান। ড. ইউনূস এই আহ্বানে সাড়া দেন এবং পরিদর্শনের পরিকল্পনার কথা জানান।

Nagad

এই কমিশনে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস, এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।