ক্ষমতায় গেলে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে তার দল জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। কুমিল্লার ফান টাউন পার্ক মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা এবং জনসম্পৃক্ততা বিষয়ক আলোচনা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এমন কাজ করা যাবে না। আমাদের কাজ করতে হবে দেশের কল্যাণে।’ তিনি সতর্ক করেন, বিএনপির কোনো কর্মীর এমন কার্যকলাপে জড়ানো উচিত নয় যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।


দেশে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তারেক বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা জরুরি। প্রাথমিক থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানে সফল হয়।”
বিএনপির ২৭ দফা দাবি পরবর্তীতে ৩১ দফায় রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি জানান, ‘এই প্রস্তাবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
বিএনপির অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। আমার মা বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের পক্ষে থেকে নির্যাতন ভোগ করেছেন।’
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, আরও দুই বছর আগে আমরা ৩১ দফার কথা বলেছিলাম। যখন আমরা জানতাম না স্বৈরাচার কখন বিদায় নেবে। যখন অনেকে বিশ্বাস করতো না স্বৈরাচার বিদায় হবে, তখন আমরা এটি দিয়েছিলাম। এটির মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করা।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতি দেশের অধিকাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে। আপনাদের কথা সঠিক। কিন্তু এ আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের (বিএনপি নেতাকর্মীদের)।
বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনসহ কুমিল্লা ছয়টি জেলা বিএনপি, মহানগর, পৌরসভার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া ছেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলি, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।