ধীরে ধীরে করছাড় তুলে দেওয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান

মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) একক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকি কমানো সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি জানান, করছাড় দেয়া জায়গাগুলো ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “করছাড় কমানো বিকল্প নেই। কাউকে কর ছাড় দেওয়া, আর কাউকে না দেওয়া বৈষম্যের সৃষ্টি করে। যদিও এসব ছাড় জনস্বার্থে দেওয়া হয়েছে, তবে রাষ্ট্রীয় স্বার্থেও অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে এসবের যৌক্তিকীকরণ করা হবে। কর ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এতে রাজস্ব বৃদ্ধি সম্ভব হবে না।”

তিনি বলেন, “একক হারে মূসক নির্ধারণ করলে ব্যবসায়ীদের জন্য বাস্তবায়ন সহজ হবে এবং ফাঁকি কমবে। এ বিষয়ে আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবো।”

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর কর অব্যাহত রাখার কারণে কিছু পণ্যের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সব পণ্যের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তিনি বলেন, “কর আদায় কম হলেও জনস্বার্থে এসব পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, এবং আমরা আশা করছি পরিস্থিতি উন্নত হলে ভ্যাট আদায় বৃদ্ধি পাবে।”

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, “ভ্যাট নিবন্ধন, ভ্যাট পরিশোধ ও রিটার্ন দেয়ার প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে সহজতর হয়েছে। দ্রুত সময়ে করজাল বৃদ্ধি করার জন্য কাজ চলছে, যাতে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করা যায়।”

Nagad

তিনি যোগ করেন, “বর্তমানে আয়কর নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ হলেও, ভ্যাট নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা মাত্র ৫ লাখ। এটি অত্যন্ত কম, এবং এ সংখ্যা বাড়াতে হবে।”

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৩ সাল থেকে ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। এবারের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, “ভ্যাট দেব জনে জনে, অংশ নেব উন্নয়নে”, যা জনগণের ভ্যাট প্রদানে অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদানকে গুরুত্ব দেয়।

তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত সততার সঙ্গে করদাতাদের সেবা দেব, যাতে তারা মনে না করেন যে তাদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে।”