সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী: ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

সাভারের একটি মাদরাসার কবরস্থানে দাফন করা মরদেহটি বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীরই। ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পছন্দমতো স্থানে মরদেহ পুনরায় দাফনের অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চে এ বিষয়ে সিআইডি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেয়।

আবুল হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালত ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। বুধবার আদালত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুনরায় দাফনের অনুমতি দেয়।

২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ঢাকার সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদরাসার কবরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে দাফন হন। এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তার পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে আদালতে বলেন, “বাবার মৃত্যুকে ঘিরে নানা সন্দেহ আমাদের মর্মাহত করেছে। অনেকে প্রশ্ন তোলে তিনি সত্যিই মারা গেছেন কি না। এটি প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন ছিল। আদালতের রায়ের মাধ্যমে সেই ধোঁয়াশা কেটেছে।”

ডিএনএ পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর হাইকোর্ট রুল জারি করে। এতে মরদেহের ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহার এবং তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে হারিছ চৌধুরী দেশ ছেড়ে ভারতে যান। ২০২১ সালে সাভারে দাফন হওয়ার আগে তিনি গোপনে জীবনযাপন করছিলেন বলে জানা যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ সঠিক সম্মানের সঙ্গে দাফনের দাবি জানানো হয়েছে।

Nagad