‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসংগঠনের
ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকানো ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে আয়োজিত জরুরি বৈঠক শেষে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এ ঘোষণা দেন।


তিনি অভিযোগ করেন, “ছাত্র পরিচয়ে বহিরাগতদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং বিভিন্ন আন্দোলনে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সরকারদলীয় নেতারা দেশের সম্পদ লুটপাটের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”
বৈঠকে দাবি করা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ষড়যন্ত্রমূলক অস্থিরতা রোধে দ্রুত দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনে ঠেকাতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক মেলবন্ধন অক্ষুণ্ন রাখতেই আমরা সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রশ্নে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠন এখন থেকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। অর্থাৎ কোনো ফরম্যাটেই আওয়ামী লীগকে আর পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ঢাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের সভাপতি জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সেক্রেটারি নাজমুল হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সেক্রেটারি সৈকত আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।