রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরকারকে হটকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান বিএনপির

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো হটকারি সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন-এই মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয় এমন কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখানে আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব৷ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয়বার স্বাধীন দেশ হয়েছে৷ এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।’

রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে-বাংলানগরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ, তা সত্ত্বেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এই দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের যে সফল পরিণতি, সেখানে যুবদলের ভূমিকা অক্ষুণ্ণ থাকবে। বাংলাদেশের যারা ভালো চায় না, তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এই বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিস্কার করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর আগেও বলেছিলাম গণ-অভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য এবং জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে কোনোরকম হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তার জন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচন কেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন করা।’

Nagad

নির্বাচন বিলম্বিত হলে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।