মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য, প্রতি হাউজিংয়ে বসছে সেনা ক্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরকে সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য বললে ভুল হবে না। সম্প্রতি সেখানে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সেসব রোধে আজ থেকে মোহাম্মদপুরের প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১টায় বসিলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রবিবার থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দুই-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে; যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।’

এসময় মোহাম্মদপুরবাসীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে তথ্য দিন। তথ্য দিলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে।’

মেজর নাজিম জানান, ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান ও বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটিতে চাঁদাবাজা, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, জেনেভা ক্যাম্পে এ পর্যন্ত ছয় বার অভিযান হয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যত গ্রেফতার হয়েছে তার ৩০ শতাংশ জেনেভা ক্যাম্পের।

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৯৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, এসময় ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৬১ রাউন্ড গুলি, ১৯ রকমের মাদক, একটি গ্রেনেড, ৮০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

Nagad

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্য ১৫-১৬ জন গডফাদার এবং লিডার রয়েছে। তারা চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এলাকাবাসীকে শান্তিতে রাখতে সেনাবাহনীর এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’