জুলাই ও আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।


প্রথমদিনে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
জানা গেছে, এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কিন্তু এবার গণহত্যার প্রথম অভিযোগ কার এবং কত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে সেটি এখন দেখার বিষয়। সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতিরা এ নিয়ে বিচারকাজ শুরু করেন। গণহত্যার হুকুম ও সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যার ঘটনায় করা মামলার বিচার করতে নিয়োগ পাওয়া ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারপতি যোগ দিয়েছেন। এখন অভিযোগ যাচাই-বাচাই ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আর্জিও জানানো হবে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এ আন্দোলনে। তুমুল আন্দোলনের মধ্যে।
প্রসঙ্গত-আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সংঘটিত গুম-হত্যা এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে চালানো গণহত্যার বিচার করবে এই ট্রাইব্যুন্যাল।