লক্ষ্মীপুরে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নিহত ৩
লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হতাহতের বীভৎসতা বর্ণনা করে এই চিকিৎসক বলেন, দুর্ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেকের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেকে মারাত্মক জখম হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।


আহতরা হলেন—সুমন হোসেন, মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার তিন চালক।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফিলিং স্টেশনে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। বাসের সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়।