হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

ফাইল ছবি

নিজেদের হামলায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছিল ইসরায়েল। এবার হিজবুল্লাহও তাদের বাহিনীর প্রধানের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, আজ শনিবার এক বিবৃতিতে নিজেদের বাহিনী প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। এর আগে ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, শুক্রবার শুক্রবার বৈরুতে এক হামলায় হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দাবি করছে, হাসান নাসরাল্লাহকে টার্গেট করে সে হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলায় হাসান নাসরাল্লাহর সাথে হিজবুল্লাহর সাউদার্ন ফ্রন্ট কমান্ডারও নিহত হয়েছে।

আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফট্যানেন্ট জেনারেল হারজি হালেভি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘এখানে বার্তা খুব পরিষ্কার। ইসরায়েলি নাগরিকদের যারা হুমকি দেবে তাদের কীভাবে খুঁজে বের করতে হয় সেটা আমরা জানি। সেটা উত্তরে, দক্ষিণে কিংবা আরো দূরে হলেও আমরা খুঁজে পারব।’

আইডিএফ বলছে, দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর সিনিয়র নেতারা যখন বৈঠক করছিলেন তখন সেখানে হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ বৈরুতের এ জায়গাটি হেজবুল্লাহর একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

আইডিএফ তাদের ‘এক্স’ প্লাটফর্মে লিখেছে, হাসান নাসরাল্লাহ পৃথিবীতে আর আতঙ্ক ছড়াতে পারবে না।

Nagad

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এবার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য একটি বড় ক্ষতি। কারণ তিনি ছিলেন এক ‘ক্যারিশমাটিক’ নেতা। যার এক কথায় রাস্তায় নেমে আসতেন হাজার হাজার মানুষ। এখন হিজবুল্লাহর দায়িত্ব কার হাতে আসবে সেটি নিশ্চিত নয়। তবে নতুন নেতৃত্বের সবকিছু গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে।