নেচে-গান গেয়ে গেয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় নেচে, গেয়ে ও উল্লাস করতে করতে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঘটনাটি কয়েকদিন আগের বলে জানা গেছে।

গত শনিবার ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নম্বর গেট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা, কোন কারণে ভালোবাসার দাম ন দিলা’ গানটি গেয়ে যুবককে পেটানো হচ্ছে।

ঘটনাটি গত ১৪ আগস্টের হলেও জানাজানি হয় গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাকে মারধর করা হচ্ছে, ওই যুবকের নাম মো. শাহাদাত হোসেন (২৪)। চট্টগ্রাম নগরের আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কের নিচে ২ নম্বর গেট মোড় এলাকায় তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে ১৪ আগস্ট রাতে নগরে প্রবর্তক এলাকা থেকে পুলিশ শাহাদাতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন শাহাদাতের চাচা মো. হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়েও এজাহারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট ভুক্তভোগী শাহাদাতের চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন শাহাদাত। সারাদিন পর তার স্ত্রী শারমিন সন্ধ্যার দিকে ফোন করলে তিনি জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় যাবেন। রাত অনেক হলেও শাহাদাত বাসায় না ফেরায় আবার তাকে ফোন করেন শারমিন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এর পরদিন সকাল ৯টার দিকে শাহাদাতের চাচা ফেসবুকে দেখেন, নগরের প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনাশাহ মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে তার ভাতিজার মরদেহ পড়ে আছে।

Nagad

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে বলেন, খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী সেটি দেখে নিশ্চিত করেন, মারধরের শিকার ব্যক্তিটিই তার স্বামী। যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনা খুবই কষ্টকর। আমরা খুব দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করব। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

এদিকে, ভিডিও ভাইরালের পর এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে।