ছাত্র হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে বসিয়ে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এখনো বসে আছে আওয়ামী লীগের দোসররা। ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসিয়ে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না।

তিনি বলেন-অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা ইস্যুতে অস্থিরতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। পালিয়ে যাওয়া সরকারের দোসররা দেশে অস্থিরতা করে বর্তমান সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে। এই সরকা

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারে রাজনৈতিক নেতৃত্ব না থাকায় অনেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে জানিয়ে
মির্জা ফখরুল বলেন, চট্টগ্রামের দুটি জেলায় যে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, ইউনিভার্সিটিতে যেটা ঘটেছে সেটাও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এখানে বিরাজনীতিকরণের আভাস আছে। শেখ হাসিনা বিভিন্ন বক্তব্য প্রচার করছে, সে কারণে এখানে আরো উসকানি আছে। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের অভিজ্ঞতার সঙ্কট এখানে একটা কারণ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সবাই টেকনোক্রেট হওয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতার কারণে অনেকে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। পতিত সরকারের আমলারা এখনো থেকে যাওয়ায় সেই সুযোগ আরো বেশি থেকে যাচ্ছে। শুরুতে আনসার পরে বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন পরিস্থিতি ঘোলাটে করার পাঁয়তারা করেছে।

পতিত সরকারের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়ে গেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সংকট সমাধানে অন্তবর্তী সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।

Nagad

খালেদা জিয়ার শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন-রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ছয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলেও চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন বাসায়।

সংবিধান পরিবর্তনের মতামত নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করার আগে মানুষের মতামত নিয়ে তারপর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আইনগত দিক দেখতে হবে। নির্বাচনের পর সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। এই সংবিধানের অধীনে শপথ না নিলে তারা সংবিধান পরিবর্তনের কথা বললে বেশি যৌক্তিক হতো।

তিনি বলেন, ভারতে গণতন্ত্রের মিনিমাম স্টেজ আছে। তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত আছে।

সংস্কারের বিষয়গুলো দেশের মানুষের প্রত্যাশা থেকে পূরণ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সংস্কার চাপিয়ে দেওয়া নয়, এটা সবার কাছ থেকে মতামত আশা উচিত।

বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, নির্বাচন দেরি হলে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হবে। তাতে করে আওয়ামী লীগের লোকজন অপকর্ম করে বিএনপির উওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সংবিধান পরিবর্তন, পরিমার্জন করতে হলে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। না হয় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার চেষ্টা দেশের জন্য মঙ্গল নয় বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।