‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই, পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তারা তো (শিক্ষার্থী) সবচেয়ে শিক্ষিত। একজন অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

বুধবার রাতে শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা।

একই দিন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয় তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তি।

এ সময় পুলিশ সদস্যদের উজ্জীবিত করার পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে নেওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশে পরিণত করা যায়- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যে সমস্যা হচ্ছে, তার উন্নতি কীভাবে করা যায় সে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও আলাপ হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।

Nagad

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে, বাদী আসামিদের চেনে না। পুরাতন ফরম্যাটে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিত, এই সময়ে কোনো পুলিশ মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিত। কিন্তু এখন পুলিশ মামলা দিচ্ছে না, সাধারণ জনগণ দিচ্ছে। পুলিশ যদি এমন একটা মামলাও দেয়, আপনারা আমাকে জানাবেন।

তিনি বলেন, কাল আমার কাছে একজন এসেছিলেন, ‘তিনি বলেন- স্যার মামলার যে অরিজিনাল আসামি তাকে ১১ নম্বরে রাখা হয়েছে। আমি বললাম, কেন? তাকে তো এক নম্বরে দিবেন। তিনি বলেন- না, যারা এইটা ড্রাফট করছে, তারাই দিয়েছে।’